বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশ থেকে আরও ৯ লাখ টন চাল কিনবে সরকার। এতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এরপর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দাবি করেন, দেশের অর্থনীতি এখনও স্বস্তিদায়ক। তিনি আরও বলেন, রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে রিজার্ভ।
বৈরি আবহাওয়ায় আমনের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এতে চালের ঘাটতির শঙ্কা রয়েছে। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
এরই মধ্যে ভারত-মিয়ানমার থেকে সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারপরও দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই বিদেশ থেকে আরও ৯ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক জানান, ৪ লাখ টন কেনা হবে সরাসরি, বাকি ৫ লাখ টন দরপত্রের মাধ্যমে। দরপত্রের সময়সীমা ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। আমদানি কমেছে এবং রপ্তানিও বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করেন তিনি।
এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য ১৫ হাজার টন মসুর ডাল ও ২২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :