আজ দেশে ফিরছে বাংলা মায়ের দামাল মেয়েরা। বীরদের বরণ করতে প্রস্তুত গোটা দেশ। দক্ষিণ এশিয়া সেরাদের জন্য থাকছে বর্ণিল সংবর্ধনার আয়োজন। ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকে গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, আমি যদি ঐরকম বড়লোক হইতাম, তাহলে প্লেন নিজে চালাইয়া ওইখানে চলে যেতাম। আমার ঐদিনের ভাবটা এমন ছিল।
স্বপ্নের রাতটা কেমন কেটেছে সভাপতির কণ্ঠে স্পষ্ট। সাফ সভাপতি হয়েও ট্রফি না দেয়ার সিদ্ধান্তটাও নিজেরই। বাফুফে ভবনে বসে উপভোগ করেছেন ইতিহাস গড়ার মুহূর্তটা। আবেগে আপ্লুত হয়েছেন নির্বাকও হয়েছেন।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ দাপটের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা কোনও অপ্রত্যাশিত ফল না, প্রত্যাশিত।
বিমানবন্দরে মেয়েদের বরণ করতে বা সংবর্ধনার অংশীদার হতেও যাবেন না কাজী সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি বলেন, মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন কাপ নিয়ে আসছে প্রথমবারের মতো। আমি যদি ওখানে যাই আপনারা আমাকে অনেক প্রশ্ন করবেন অনেক কিছু করবেন।
সভাপতি সাফল্যের রোডম্যাপ এঁকেছিলেন, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছেন মেয়েরা। এখানেই থামতে চান না কাজী সালাউদ্দিন।
শুধু কি কাজী সালাউদ্দিন? নারীদের সাফল্যে গা ভাসিয়েছে পুরো দেশ। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সকাল থেকে ব্যস্ততা নারীদের ঘিরে। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথেও।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, মেয়েদের জন্য বড় কিছু করার অবশ্যই চিন্তা রয়েছে। তবে করোনার কথা চিন্তা করেই আমাদের সব করতে হবে। ইনশাআল্লাহ তাদের এয়ারপোর্টে আমরা সংবর্ধনা দেব।
বিমানবন্দরে বরণ করে নেবেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সেখানকার মিষ্টিমুখ আর সংবর্ধনা শেষে খোলা বাসে রাজপথে নামবে মেয়েরা। বাফুফে ভবনে সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশন, বৈঠক আর মধ্যাহ্ন ভোজে শেষ হবে দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
ছাদ খোলা বাসে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে দিয়ে তেজগাঁও, ফকিরেরপুল হয়ে বাফুফে ভবনে যাবেন স্বপ্ন সারথিরা।
আপনার মতামত লিখুন :