গত ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ভারতের (India) ইনফাস্ট্রাকচার ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো। একের পর এক ন্যাশনাল হাইওয়ে এবং হাই কোয়ালিটি রেল ব্রিজ তৈরি করার পর এবার লক্ষ্য এয়ারপোর্ট। এই লক্ষ্যে নতুন পালক জুড়তে চলেছে নয়ডার জেওয়ারে নির্মাণ কার্যের মধ্যে থাকা নতুন এয়ারপোর্ট। জানা যাচ্ছে নির্মাণ কার্য সম্পূর্ন হওয়ার পর এটিই হবে দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিমানবন্দের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কোন সংস্থা তৈরি করছে এই এয়ারপোর্ট?
গত ২০১৯ সালে সুইস নির্মাণকারী সংস্থা ‘জুরিখ এয়ারপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এজি’ এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির সম্পূর্ণ বরাত পায়। তারপরই তারা তৈরি করে ‘যমুনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড (YIAPL)। এবার সেই সংস্থই এয়ারপোর্টের সমস্ত পরিকাঠামো তৈরির বরাত দিয়েছে দেশের অন্যতম বিখ্যাত, টাটা (Tata) গোষ্ঠীর ‘টাটা প্রোজেক্টস’কে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আগামী ২ বছরের মধ্যে বিমানবন্দর নির্মানের কাজ সম্পূর্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
নয়ডার কোথায় কোথায় তৈরি হচ্ছে দেশের এই বৃহত্তম বিমান বন্দর?
নয়ডাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এই এয়ারপোর্টে তৈরি হচ্ছে নয়ডার জেওয়ারে। সেখানে প্রায় ১৩৩৪ একর জমির ওপর তৈরি হতে চলেছে দেশের বৃহত্তম এই বিমানবন্দর।
কিরকম হবে এই বিমানবন্দর?
জানা যাচ্ছে প্রথম দফায় একটি রানওয়ে চালু করা হবে সেখানে এবং এটি তৈরি করতে সরকারের আনুমানিক খরচ পড়বে ৫ হাজার সাতশো কোটি টাকা। একবার তৈরি নিয়ে গেলে প্রতিবছর এই বিমানবন্দর প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারবে।
কি কি সুবিধা উপলব্ধ থাকবে এই বিমানবন্দরে?
টাটা গ্রুপের সাথে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী টাটা প্রজেক্টস বিমানবন্দরের টার্মিনাল, রানওয়ে এবং উড়ানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করবে। এছাড়া সেখানের প্রয়োজনীয় রাস্তা এবং বিমানবন্দদের প্রয়োজনীয় বিল্ডিং গুলিও তারাই নির্মাণ করবে। আর এই সমস্ত কিছুই আগামী ২ বছরের মধ্যে নির্মাণ করবে টাটা প্রজেক্টস।
নয়ডা এয়ারপোর্টের নির্মাণকার্য প্রসঙ্গে টাটা প্রোজেক্টসের সিইও বিনায়ক পাই জানান যে তারা যমুনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে এক সাথে কাজ করে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই কাজ শেষ করে ফেলতে চান। এবং সেইজন্য তারা বিভিন্ন রকমের পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও করছেন।
প্রসঙ্গত দেশের গর্ব টাটা গোষ্ঠী দেশের নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে এছাড়াও মুম্বাই এর ট্রান্স হারাবার লিংক এবং দেশের বিভিন্ন শহরের মেট্রো রেল নির্মাণের দায়িত্বও তাদের ওপরেই। আর এই প্রকল্পে টাটা গোষ্ঠীর যোগ দেওয়া যে প্রোজেক্ট কে আরো সমৃদ্ধ করে তুলবে সে আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আপনার মতামত লিখুন :