তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক কাটেনি, আরসার জায়গায় এসেছে আরএসও


hadayet প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ৪:০৬ পূর্বাহ্ন / ২২
তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক কাটেনি, আরসার জায়গায় এসেছে আরএসও

তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাণ্ডবের ঘটনার পর আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) শূন্যরেখা ছেড়ে গেলেও ক্যাম্পের দখল নিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও)। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও আতঙ্ক কাটেনি বাসিন্দাদের। এলাকা ছেড়েছেন এপারের বাংলাদেশিরাও। মিয়ানমারের সন্ত্রাসি বাহিনী আরসা এবং আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

গোলাগুলি আর ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবারও উত্তাপ ছড়িয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পে থাকেন সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। আরসা এবং আরএসও সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

আরসাকে কোণঠাসা করে ক্যাম্প দখলে নেওয়ার দাবি আরএসও’র। আর শূন্যরেখায় দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ রোহিঙ্গারা।

ভুক্তভোগি জনৈক রোহিঙ্গার ভাষ্যে, আরএসও মোহাম্মদ আলমের ওখানে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তার সামনে বন্দুক ধরে কি যেন জিজ্ঞেস করেছে। আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি, আমার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা ছেড়ে দেয়নি।

আরএসও ও আরসা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। তারা আমাদের জিরো পয়েন্টে থাকা বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে আমাদের ঘরবাড়ি সব পুড়ে গিয়েছে।

সীমান্তে উত্তেজনা-অস্থিরতার কারণে আতঙ্কে দিন কাটছে এপারের বাসিন্দাদের। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।

প্রশাসনের কড়া নজরদারির অভাবে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে দাবি করছেন বিশিষ্টজনরা।

সম্প্রতি দুই সন্ত্রাসি বাহিনীর সংঘাতের জেরে নিহত হন আরএসও নেতা মোহাম্মদ নবি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচশর বেশি ঘর। এদিকে সীমান্তে নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।