বঙ্গবন্ধুর আহবানে শুরু হয় বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ অসহযোগ আন্দোলন বলে জানালেন ক্রীয়া প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুরের ভাওয়াল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্ল্যাহ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান গাজীপুর ২ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি আরো বলেন ইতিহাসের ঘৃণিত গনহত্যা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের অপারেশন সার্চলাইট। ওইদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, পিলখানা, রাজারবাগ,পুলিশ লাইনসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এবং ঢাকার বাহিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে হত্যাকরে অসংখ্য নিরস্ত বাঙালিকে। ১৯৭১ সালের ৭ই র্মাচ বাংলার মানুষের অবিসাংবাদিত নেতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কষ্ঠিত:সৃত বক্তব্য শোনার জন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অপেক্ষা করছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। তারা ব্যাকুল হয়ে বসেছিল বঙ্গবন্ধুর অপেক্ষায়। রেসকোর্সের মাঠে এসে তিনি কী নির্দেশ দেন, কী আশার বাণী শোনোন সে জন্য সেদিন লক্ষ প্রান হয়েছিল আকুল।কারণ পাকিস্তান শাসকরা সাময়িক শক্তি প্রেয়োগ করে বাঙালি স্বাধীনতার আন্দোলনের বিজয়কে নস্যাৎ করার সমস্ত পরিকল্পনার ছক তৈরি করে বসেছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই র্মাচ রেসর্কোস ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার উন্মুখ দশ লক্ষাধিক মানুষের সামনে বজ্রকন্ঠে ঘোষনা করেন আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায় এবারের সংগ্রম আমাদের মুক্তির সংগ্রম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এরপর গড়ে ওঠে তীব্র অসহযোগ আন্দোলন। ২৬শে মার্ঢ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার লিখিত ঘোষণাপত্র দিয়ে যান। ২৬শে মার্চ দুপুরে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাটের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি অংশগ্রহন করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগন। সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থা থেকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শক্রমুক্ত করে স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন এর সর্বাধিকনায়ক।
আপনার মতামত লিখুন :