‘অলিম্পিক বাছাইয়ে মেয়েদের পাঠানোর ইচ্ছাই ছিল না বাফুফের’, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী


hadayet প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১০, ২০২৩, ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন / ৩২
‘অলিম্পিক বাছাইয়ে মেয়েদের পাঠানোর ইচ্ছাই ছিল না বাফুফের’, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে নারী দলকে মায়ানমারে পাঠাতে পারছে না বাফুফে। এবার এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

অলিম্পিকের বাছাইপর্বে নারী দলকে খেলতে না যাওয়া নিয়ে জল ঘোলা হওয়া কমছে না। বরং বাফুফের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাপারটি। এবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের রোষানলের শিকার হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে নারী দলকে মায়ানমারে পাঠাতে পারছে না বাফুফে। সবমিলিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকার দরকার বলে জানানো হয়, যেটি এই মুহূর্তে বাফুফের কাছে নেই বলেই দাবি করেছেন সালাহউদ্দিন।

এই অপরাগতার জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেও নাকি ধমক খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানও। আজ বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে নিজ কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি নারী ফুটবল দলকে বিদেশে পাঠানোর ইচ্ছাই ছিল না তাদের। এই জন্যই এমন নাটক সাজিয়ে তাদের দোষটা আরেকজনের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এই ঘটনার পেছনে অন্য কিছু আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে চান তিনি, ‘নারী ফুটবল দলের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার জন্য যে প্রস্তাবনা তারা দিয়েছিলেন, সেখানে আমাদেরও প্রাথমিকভাবে দোষারোপ করা হয়েছে। বলেছেন, সরকার বা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়নি এ জন্য দল পাঠাতে পারেনি। আমরা ২৭ মার্চ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি। কিন্তু সেখানে উল্লেখ ছিল ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের অবগত করানোর যে তাদের ৯২ লাখ টাকা প্রয়োজন। অথচ এক দিন পরই তারা জানালেন যে টাকা পাচ্ছেন না বলে টিম পাঠাতে পারছে না। কীভাবে এটা হয়!’

যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, বাফুফে সভাপতি তাকেও কিছু জানাননি, ‘ফেডারেশনের সভাপতি মহোদয় আমাকে ফোন করতে পারতেন। বলতে পারতেন, যে টাকার জন্য আটকে গেলাম, কি করা যায়। কিন্তু উনিও কোনো কথা বললেন না। হঠাৎ করে এক দিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে খেলা থেকে পিছিয়ে গেলেন। এবং এটার জন্য সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করা হলো। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।’

বাফুফে থেকে দেরিতে চিঠি পেয়েও দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, এমনটাই জানালেন মন্ত্রী, ‘যে কোনো সংস্থার কাছে টাকা চাইতে হলে একটু সময় লাগে, সময় দিতে হবে তাদের। আমাদের কাছে টাকা চাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চিঠি লিখেছি। সেটির জবাব আসার আগেই তারা এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। এবং সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি নারী খেলোয়াড়দের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, তাকেও অবগত করা যেত।’

শেষ মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টাকার অভাব দেখিয়ে ‘দল পাঠানো যাচ্ছে না’ ঘোষণা দেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য দেখছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘এটা তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করেছে। কেন এত তড়িঘড়ি করে চিঠিটি দিলেন, কেন তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন সময়ের আগে? এ ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হলে নিশ্চয় তারা ৩ মাস বা ৬ মাস আগে জানতে পেরেছে। তারা এত দিন পরে জানালেন কেন? তারা যে অলিম্পিক বাছাইয়ে যেতে পারল না এটার মধ্যে কিছু একটা আছে। আমাদের পক্ষ থেকেও বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি অবগত করছি।’