অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ভূমধ্যসাগর। শুধু তিউনিশিয়া উপকূলেই গত ১০ দিনে প্রাণহানি দুশোর বেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের হিসাবে, এ বছরের প্রথম চার মাসেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যু ও নিখোঁজের সংখ্যা সাতশোর বেশি।
ভূমধ্যসাগর হয়ে অভিবাসনের ইতিহাস বেশ পুরোনো। তবে, ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে আফ্রিকা-তুরস্কের উপকূল থেকে নৌকায় এ সাগর পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা অনেকে বেড়েছে। উন্নত জীবনের আশায় এ যাত্রায়- বেশির ভাগেরই ভাগ্যে জুটছে সলিল সমাধি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যু-নিখোঁজের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। আর বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকার বাসিন্দা। হতাহতদের মধ্যে লিবিয়া, মিসর, সোমালিয়া, সিরিয়া ছাড়াও রয়েছেন এশিয়ার নাগরিক।
এরপরও থেমে নেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা। গত ১০ দিনে এখানে দুশোর বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর তথ্য দিচ্ছে তিউনিশয়া। মরদেহের সংখ্যা বাড়তে থাকায়, স্থান সংকুলান হচ্ছে না মর্গে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিউনিশিয়া হয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের গন্তব্য ইউরোপের দেশ ইতালি। চলতি বছর ৪০ হাজারের বেশি অভিবাসী গেছেন সেখানে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪ গুণ।
অভিবাসীদের এই ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবিলায় ৬ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালির সরকার। অভিবাসীদের আগমন এবং প্রত্যাবাসন কর্মকাণ্ড আরও ভালোভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ।
আপনার মতামত লিখুন :