ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা: শিক্ষামন্ত্রী


shakil প্রকাশের সময় : জুলাই ৭, ২০২২, ৫:৪০ পূর্বাহ্ন / ৩৩৫
ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা: শিক্ষামন্ত্রী

দেশের পাঠ্যক্রম থেকে ধর্মীয় শিক্ষা তুলে দেয়া হচ্ছে বলে যে খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে, তা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ধর্মীয় শিক্ষা তুলে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
এসময় পাঠ্যসূচি থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে এমন মিথ্যাচার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
নতুন ২ হাজার ৭১৬টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসলামসহ সব ধর্মশিক্ষাই আবশ্যিক বিষয় হিসেবে আছে। তিনি মন্তব্য করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, একজন মাননীয় সংসদ সদস্য, আমি তখন দেশে ছিলাম না, একজন সংসদ সদস্য আমাদের পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। পরে আবার তিনিই স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তার তথ্য সঠিক ছিলো না এবং তার এ বক্তব্য এখনকার বইয়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। তিনি এগুলো প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার সময় সবচেয়ে ভালো সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে কথা বলা। আর একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে আমাদের চাওয়াটাও অনেক বেশি। আমি তাকে অন্তত এটুকু সাধুবাদ দিতে চাই যে তিনি পরে হলেও তথ্য যাচাই করে ভুল স্বীকার করে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই বক্তব্যের কিছুদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক একটি প্রচার চলছিল, যেটা আমার নজরে এসেছে। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম থেকে নাকি ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা সর্বৈব মিথ্যা। ধর্ম শিক্ষা সব সময় ছিল, এখনও আছে। না থাকবার কোনো কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষায় আমরা বারবার বলছি, জ্ঞান-দক্ষতা তা যেমন থাকবে, পাশাপাশি সঠিক মূল্যবোধ, নৈতিকতার ধর্ম শিক্ষা একটি আবশ্যিক বিষয়। কাজেই ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তা দিইনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে আমরা যেমন সবকিছু করে করে শেখার দিকে যাচ্ছি সেখানে ধর্ম শিক্ষার বইগুলো শুধু পড়ে গেলাম তা যেন না হয়। তারা যেন ধর্ম শিক্ষার বোধগুলো, নৈতিকতা যেন অনুধাবন করতে পারে। তাদের জীবনে চর্চা করতে পারে সেভাবে বইগুলো তৈরি করা হয়েছে।
প্রশ্ন আসে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি বন্ধ হবে? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১২ বছরের উপরে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে। তাই এখনই বন্ধের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে না। বললেন, ব্যবস্থা নেয়া হবে পরিস্থিতি বুঝে।
এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, বন্যায় অনেক পরীক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের বই দেয়া হবে। এর দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা শুরু হবে।