আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান, ড.সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, ও সিনেট সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


hadayet প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৩, ৪:৩৮ পূর্বাহ্ন / ৩৭
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান, ড.সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, ও সিনেট সদস্য  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

“বাবা! তুমি যেখানেই থাক না কেন, তোমার আশীর্বাদের হাত আমার মাথার ওপর আছে-আমি তা অনুভব করতে পারি। তোমার স্বপ্ন বাংলাদেশের জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থা করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। তোমার দেশের মানুষ তোমার গভীর ভালবাসা পেয়েছে। আর এই ভালবাসার শক্তিই হচ্ছে আমার এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ।”-এ আবেগঘন শব্দগুলো উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশের চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জেষ্ঠ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক স্মৃতি বিজড়িত “বেদনায় ভরা দিন” শিরোনামে সাম্প্রতিক এক মর্মস্পর্শী লেখনীতে এখানেই প্রিয় স্বজাতির প্রতি পিতার আকাশ সমান প্রগাঢ় ভালবাসার মত তনয়ার এদেশের মা-মাটি মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও অতল, নিখাদ মমতা ফুটে উঠেছে। ১৯৪৭ এ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের অব্যবহিত পরেই শেখ মুজিবুর রহমান হৃদয়ঙ্গম  করতে  পেরেছিলেন শোষক, অত্যাচারী পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের অধীনে কোনদিনও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ও মুক্তি অর্জিত হবে না। ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে সোচ্চার শেখ মুজিবুর রহমান বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যু্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি ও বাঙালির সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা ও অধিকার আদায়ের একচ্ছত্র নেতার অনন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ । তাইতো তিনি বাঙালির প্রিয় বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতার অনন্য অভিধায় বিভূষিত| স্বাধীনতার দশ মাসের মধ্যেই বিশ্বের এক অনন্য সংবিধান প্রণয়ন, পোড়ামাটির বিধ্বস্থ বাংলাদেশে মাটি ও মানুষকে উপজীব্য করে অর্থনীতির চাকাকে সচল করার দুর্বার প্রয়াস পান। ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করে যুগোপযোগী বিজ্ঞানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা হিসেবে সমগ্র বিশ্বের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে “Friendship to all, malice towards none” পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন । ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দু’লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ধ্রুবতারা করে বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে ধাবমান, তখনই দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশীয় ও আন্তজাতিক কুচক্রীমহল ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যখন ভোরের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল, তখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর (যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন) ভেসে গেল জাতিকে ভালোবেসে জীবনের বসন্ত দিনগুলোর তেরটি বছর উৎসর্গ করা, লাল সবুজের পতাকাকে বুকের গহীনে ধারণ করা, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল,  দশ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেল এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রায় সব সদস্যের রক্তের স্রোতে । বঙ্গবন্ধুর জ্যোষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ও ছোট মেয়ে শেখ রেহানা সেই সময় ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বেলজিয়ামে থাকায় বিধাতার অলৌকিক কৃপায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বেচে থেকে তাঁরা কী দুর্বহ বেদনার ভার বয়ে বেড়ালেন সুদীর্ঘকাল। সে নির্বাসিত বেদনা-ক্ষোভ-দুঃখ-ব্যথার জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবন -মৃত্যু পায়ের ভূত্য গণ্য করে শেখ হাসিনা আসেন বাংলাদেশের মাটিতে । তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে প্রবেশের অনুমতি দেন নি। নিয়তির কি নির্মমতা! তারপরের ইতিহাস শেখ হাসিনা জীবন বাজি রেখে স্বজাতির ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কন্টকাকীর্ণ ইতিহাস । তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করার প্রয়াস পান। আর জীবন বাজি রেখে চষে বেড়ান বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। সুদীর্ঘ ১৬ বছর চলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণকারী সামরিকতন্ত্র ও স্বৈরাচারের বিরদদ্ধে তাঁর মরণপণ অকুতোভয় আন্দোলন-সংগ্রাম। হৃদয় গভীরে হয়ত প্রেরণা হিসেবে পান পিতার সেই অমর সাহসী বীজমন্ত্র “আমরা যখন মরতে শিখেছি, কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না”।সত্যি পারেনি অসম সাহসী দৃঢ়চেতা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দাবিয়ে রাখতে । তাঁরই সুযোগ্য নেতৃতে স্বৈরশাসনের অবসানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তাঁকে হত্যা করার চেষ্ঠা চালানো হয়েছে ঊনিশ বার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা থেকে বিধাতাই তাঁকে রক্ষা করেন। মহান সৃষ্টিকতার অসীম কৃপায়, বাঙালির সুগভীর ভালবাসায় তিনি বারবার ফিরে এসেছেন মৃত্যুর দুয়ার হতে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করতে করতেই হেরে যান তিনি। কিন্ত দমে যাননি। দৃঢ় পদবিক্ষেপে অজেয় মনোবল নিয়ে চালিয়ে যান আন্দোলন-সংগ্রাম। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশসেবার সুযোগ পান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা । বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায় গড়ে তোলা হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্র ও গণমাধ্যম থেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসিত করা হয় । ৭ই মার্চের বিশ্বখ্যাত, UNESCO স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পাওয়া সেই ভাষণও নির্বাসিত হল। সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা অপসৃত হয়। পশুহৃদয় খুনি মোশতাক সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে যে ইনডেমনিটি বিল আনে, পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান সরকার সংবিধানে তাকে বৈধতা দেয় ৷ ইতিহাস কলঙ্কিত হয় নগ্নভাবে। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা সেই কুখ্যাত কালো আইন ইনডেমনিটি বিল বাতিল করে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার । প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে তিনি চাইলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করে হত্যার বিচার করতে পারতেন। কিন্ত ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত আদালতে বন্ধু হত্যার বিচার সুসম্পন্ন করেন। ফাঁসি হয় কুখ্যাত খুনীদের । এখনও পাঁচজন খুনি বিদেশে পলাতক। ২০০৯ এ দ্বিতীয় মেয়াদে দেশ সেবার সুযোগ পেয়ে তিনি সূচনা করেন যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার কাজ। তাতেও অপরাধীদের ফাঁসি হয়। কারও হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড। ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনে জয়লাভ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনে প্রাণান্ত প্রয়াস পান।

বঙ্গবন্ধু তনয়ার হাত ধরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ।  তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ ।  খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ । ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক ৷ পৃথিবীতে এ ঘটনা বিরল।  বেশ কিছু সংখ্যক উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেইটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, চার লেইন সড়ক ও অভাবনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সহজশর্তে কৃষি ঋণ, সার ও বীজের সহজলভ্যতা, দশ টাকায় কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা, অথৈ পানিতে ভাসতে থাকা স্বদেশ হারা বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দান (প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় যেমন করে ভারত ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধকালীন এক কোটি বাঙালি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়), কোন রকম যুদ্ধ-সংঘাত-বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় সুনিশ্চিত হয় শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায়। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১০ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকার প্রানিজ ও অপ্রানিজ সম্পদের উপর সার্বভোম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল (enclave) সমস্যার সমাধান হাসিনা সরকারের সুনিপুণ কূটনৈতিক সাফল্য মনে করেন বিশ্লেষকগণ ৷ অর্থনৈতিক কুটনীতিতে সাফল্যের পালক হিসেবে যুক্ত হয়েছে ২৮২৪ ডলারের মাথা পিছু গড় আয়, ১৮ শতাংশের নীচে দারিদ্যসীমা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, তালাকগ্রাপ্ত ও বয়স্ক ভাতা যার ফলে দারিদ্যসীমা ক্রমান্বয়ে নীচে নেমে এসেছে। ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতির বর্তমান বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ ও ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে- এ সুদৃঢ় প্রতীতি দেশের খ্যাতিমান অর্থনিতিবিদদের। পদ্মা মেঘনায় যত পানি গড়িয়েছে, শেখ হাসিনা তত পরিনত হয়েছেন। আর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে ও সরকারকে নিবেদিত করেছেন। ২০১৪ সালের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে তিনি দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেনঃ

আমাদের জাতীয় কবি, মানবতার কবি, নারীবাদী কবি কাজী নজরুলের দর্শন যেন সুগভীর সাহিত্যপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরণার অফুরান নির্ঝর:

“ বিশ্বের বা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”

নারীর অসাধারণ ক্ষমাতায়নের কারণে দেশ আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে। গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন । পোশাকশিল্পে নারীরা ঘটিয়েছে বিপ্লব । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তের ফলে মেয়েরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছে। লাভ করছে উপবৃত্তি ৷ কমিউনিটি ক্লিনিকে নারীরা পাচ্ছে বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা। নারীর এ প্রশংসনীয় ক্ষমতায়নের জন্য শেখ হাসিনা লাভ করেছেন “প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন” ও ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ’ এর মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার । মুজিববর্ষের উপহারস্বরূপ গৃহহীন মানুষের প্রতি পরম মমতায় তিনি জমির মালিকানাসহ আটলক্ষ পাকা বাড়ি নির্মান করে দিয়েছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে । সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো ভূমিসহ সুন্দর বাড়ী পেয়ে কী রকম আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে, তা তাদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে। দু’হাত তুলে দোয়া করেছেন, এ হৃদয়বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল, সুদীর্ঘ, নিরাময় জীবনের জন্য । তাঁর সেবাধর্মী শাসনামল যেন প্রলম্বিত হয় – এ প্রার্থনা তাদের । বিধাতা সরলপ্রাণ মানুষের প্রার্থনা কবুল করেন। শেখ হাসিনার সুনিপুণ সিদ্ধান্তে শিক্ষাক্ষেত্রে ঘটেছে বিপ্লব । বছরের প্রথম দিনে ৫ কোটির অধিক বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি বিশ্বে বিরল। “মিড ডে মিল” সর্বজনীন অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচিকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।  শিক্ষা সহায়ক এসব নন্দিত পদক্ষেপের কারণে আজ শিক্ষার হার ছিয়াত্তর দশমিক ছয় শতাংশে উন্নীত হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা, গবেষণায়ও এ সরকারের সুচিন্তিত পদক্ষেপ নন্দিত ।

বিধবা ভাতা, তালাকপ্রাপ্ত ও বয়স্ক ভাতা, বর্ধিত হারে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী জনগনের দুর্ভোগ লাঘব করে তাদের জীবনকে করেছে উন্নত। সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি অনন্য পদক্ষেপ। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গ্রামীণ জনপদের মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে-নগর জনপদে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইন্টারনেটের ব্যবহার ও ফি-লান্সিং এর মাধ্যমে নারী-পুরুষ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সাবলম্বী হচ্ছে। “আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচি শেখ হাসিনার এক সুচিন্তিত পদক্ষেপ যা গ্রামীণ মানুষকে স্বাবলম্বী করেছে বিপুল ভাবে। এ ছাড়া হাঁস-মুরগীর খামার, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, মৎস্য চাষ, কুঠির শিল্প ইত্যাদির জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার । এতসব জনকল্যাণমুখী বাস্তব কর্মযজ্ঞের কারণে আজ নগরে-বন্দরে-গ্রামে-গঞ্জে বিপুল প্রাণবন্যায় মুখর জনজীবন । সরকারের উন্নয়নের গণতন্ত্র এদেশের মানুষ গ্রহণ করেছে মনেপ্রাণে। তাইতো বিরোধী পক্ষের কথাকথিত আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই।

শেখ হাসিনা সরকারের অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতির ফলেই এ সরকারের শাসনামলে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সচিব, উপাচার্য, সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন গুরুত্ববহ পদে সমাসীন হয়েছেন । ২০০১ সালে যেভাবে তাদের জীবন বিপন্ন হয়েছিল, নেমে এসেছিল অমানবিক-পৈশাচিক বর্বর নিপীড়ন-নির্যাতন, তা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে স্বস্তির জীবন ফিরে পেয়েছেন তাঁরা । বঙ্গবন্ধুর মত উদার-মানবিকতায় ঋদ্ধ তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন – “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার”। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে তারা এ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নও প্রত্যাশা করেন অন্য কারো কাছে নয়, পাবর্ত্য অঞ্চলের দীর্ঘ সংঘাত-সংঘর্ষের অবসান ঘটানো শান্তির দূত শেখ হাসিনা সরকারের কাছেই । কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব চলছে। এ নির্মম আঘাত বাংলাদেশ সহ সবদেশকে পীড়া দিচ্ছে। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ মূল্যস্ফীতির ধকল সহ্য করা কঠিন। এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা সরকার ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল-চিনি-তেল-আটা-ময়দা-পেঁয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার ঐকান্তিক প্রয়াস পাচ্ছে। এ যুদ্ধের অবসানের জন্য তিনি জাতিসংঘে সোচ্চার হয়েছেন। কোভিডকালে Vaccine Diplomacy তে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়ে ও বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে যেভাবে জীবনহানি কমিয়েছেন তা বিশ্বে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এক কথায়, সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসংখ্য জনকল্যাণমুখী ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা সর্ব মহলে নন্দিত, সুপ্রসংসিত। ঝালকাঠির চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শীর্ষেন্দুর চিঠি পড়ে যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা নদীর ওপর সেতু গড়ে দেওয়ার প্রয়াস পান, গৃহহীন মানুষকে গড়ে দেন সুন্দর বাড়ি, দুঃখী মানুষের কষ্টে যিনি পিতার মত ব্যথিত হন, তাঁর মানবিক হৃদয়-বৃত্তির কাছেই নিরাপদ বাংলার মানুষ । পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি “Champion of the Earth” আন্তর্জাতিক পুরক্ষার লাভ করেছেন । আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১২,২৯৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ফ্রীল্যান্সার হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে এই সরকার। ফলে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত – সমৃদ্ধ – স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনা সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট কুটনীতির ফলে ১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বদরবারে “আর্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং বঙ্গবন্ধুর বিশ্ব ইতিহাস সৃষ্টিকারী ৭ই মার্চের বক্তব্য ম্যামরি অব দা ওয়ার্ড রেজিষ্টারে ডকুমেন্টারী হেরিটেজ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের নৃশংসতম গণহত্যাকে সবিশেষ বিবেচনায় নিয়ে ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস (International Genocide Day) ঘোষণার জোরালো দাবি দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শেখ হাসিনা সরকারের ।  ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।  সূচনালগ্নে বিরোধীদল এটা নিয়ে কৌতুকবাণ নিক্ষেপ করলেও আজ ইন্টারনেটে দ্রুত বর্ধনশীল দেশের একটি বাংলাদেশ । COVID-19 মহামারীর প্রাক্কালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়।  অফিস- আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা বাংলাদেশকে যোজন যোজন পথ এগিয়ে দিয়েছে। আজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেগ্ত মোকাবেলায় প্রস্তুত ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর এক বিচক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচি উন্নয়নের গণতন্ত্র রাষ্ট্র বদি জনগণের অন্ন-বন্তর-বাসস্থান-শিক্ষা- চিকিৎসা, উন্নত যোগাযোগ, কর্মসংস্থান/আত্মকর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে না পারে তবে গণতন্ত্র টেকসই হতে পারেনা । করোনা ভাইরাসের টিকার ন্যায্য হিস্যা দাবি এবং করোনা মোকাবেলায় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার জন্য ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৪.৪৪ শতাংশ । এছাড়া টিকা প্রযুক্তি হস্তাত্তর, প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাষত্ব ছাড়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান । চার কোটি মানুষ পেয়েছিল নগদ অর্থ সহায়তা । এ সব বনরক্ষাকারী মানবিক পদক্ষেপের কারণে বিশাল জীবনহানি থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ । জননেত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীল ও মানবতাবাদী লেখিকা হিসেবে ও নন্দিত। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রভায় প্রদীপ্ত এ আলোকিত ব্যক্তিত্ব বেশ কিছু গ্রন্থের রচয়িতা : শেখ মুজিব আমার পিতা, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, দারিদ্র্য দূরীকরণঃ কিছু চিন্তাভাবনা, সাদা কালো, আমরা জনগনের কথা বলতে এসেছি,বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা, আমাদের ছোট রাসেল সোনা ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দৃরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মনিষ্ঠ, মানবহিতৈষী, বাস্তববাদী, ধর্মপ্রাণ, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত চিন্তা-চেতনা ও দর্শনজ্ঞানসমৃদ্ধ সফল রাষ্ট্রনায়ক। জলে-স্থলে অন্তরীক্ষে সফলতার উজ্জ্বল প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাহাজ নির্মাণ, বিশ্ব ব্যাংকের ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপনের কীর্তি-গাথা তুলে ধরা যায়। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রাসারণ পর্যটন শিল্পকে প্রসারিত করবে বিপুলভাবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল ইত্যাদি মেগাপ্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপ্লব সাধিত করবে । কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাদ্য ঘাটতি থেকে বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তর দেশে রূপান্তরিত করেছেন। এছাড়া একশত অর্থনৈতিক জোন সৃষ্টির মাধ্যমে শিল্প বিপ্লব ঘটানো ও কর্মসংস্থাপনের ক্ষেত্রকে সম্প্রসারণ করা, জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর ক্ষমতায়ন, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় চীন – ভারত – রাশিয়া – যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলী সম্পর্ক স্থাপন, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন তথা সার্বিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উল্লিখিত পদক্ষেপসমূহ দেশে ও বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। সুগভীর পর্যবেক্ষণ যাঁদের রয়েছে ভূ-রাজনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে, তাঁরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন এবং মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে চলেছেন, আর একবার ক্ষমতায় এলে ছোটখাটো ভুলত্রুটি শুধরে বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে যাবেন, তাতে অন্য কারো পক্ষে ক্ষমতায় আসা অসম্ভব হয়ে যেতে পারে ভেবে কেউ কেউ এইবারেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার জন্য দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কিছু তরুণ-তরুণীকে এই সরকারের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা এই সরকারের সামান্য ত্রুটি -বিচ্যুতির কথা তুলে ধরলেও সাফল্যের পাল্লা ভারী বলে উল্লেখ করেন। নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীরা ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। যদিও কেউ কেউ ভূমি বিরোধসহ কিছু অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন। তবে ভবিষ্যতে নতুন কোন সরকারের কাছে এ সমাধান প্রত্যাশা করেন কিনা জানতে চাইলে তাঁরা চটজলদি “না” সুচক ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই সব সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করেন। দ্রব্যমূল্য, বেকার সমস্যা ও শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করলেও নতুন কোন সরকারের কাছে এসবের সমাধান চান না। কারণ তাঁদের মতে, নতুন সরকারের নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে অনেক সময় প্রয়োজন হবে । ততক্ষণে পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে যাবে, পিছিয়ে যাবে স্বদেশ-স্বভূমি, অর্থনীতি ও উন্নয়ন- প্রগতির দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা গতি-প্রকৃতি। তারা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছর এবং শেখ হাসিনার সরকারের প্রায় বিশ বছরের শাসনামলে যে অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, বাকি প্রায় ত্রিশ বছরের সামরিক স্বৈরতন্ত্র ও দেশপ্রেমহীন সরকারগুলোর শাসনামলে তার ছিটেফোঁটাও পরিলক্ষিত হয় না। ইতোমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছেন এবং যে গতিতে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার যে সুকঠিন পথ-পরিক্রমা পাড়ি দিয়েছেন এবং অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রতিও দিয়েছেন, তাতে তরুণ হৃদয়ে এ প্রতীতি জন্মেছে – যে প্রধানমন্ত্রীর রক্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোণিতধারা, যার অস্থি-মজ্জা-মননে-অস্তিত্বে লাল- সবুজের পতাকার ছোঁয়া, প্রগাঢ় স্বাজাত্যবোধ, সততা- মানবিকতা -দেশপ্রেমের ছোঁয়া, আপনজন হারিয়ে দেশের মানুষের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়ন যার ধ্যানজ্ঞান, যার হাত ধরে উন্নয়নশীল সেশের কাতারে প্রবেশ করেছে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তেস্নাত প্রিয় বাংলাদেশ, তারই বলিষ্ঠ নেতৃতেই ২০৪১ সালের মধ্যে বিনির্মিত হবে কাক্ষিত সার্বিক উন্নতি-প্রগতি সমৃদ্ধ Smart Bangladesh. মানবহিতৈষী জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সাফল্য ও কল্যাণ কামনায় আজ সব দেশপ্রেমিক মানুষের কায়মনোবাক্যের প্রার্থনা, “তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে