একটি ডিম ১৫ টাকা


hadayet প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩, ২০২৪, ৩:৫৪ পূর্বাহ্ন /
একটি ডিম ১৫ টাকা

সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে ডজনে ২৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দর ১৪২ টাকা; কিন্তু রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৭০ টাকা। আবার এক হালি নিলে ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। এতে এক পিস ডিমের দাম পড়ে ১৫ টাকা।

নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে শেষ ভরসা ডিম। তবে সেখানেও চোখ পড়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের।  বিক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের জন্য খামারে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। এতে সরবরাহ কমেছে।

আবার সরবরাহ কমায় ডিমের দাম বেড়েছে।

বুধবার রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজার, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরায় প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৬০ টাকায় এবং প্রতি ডজন ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১৬০ টাকা।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

তাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা বেঁধে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এখন সরকারের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যের চেয়েও ডজনে প্রায় ২৮ টাকা বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ডিমের চাহিদা আছে দৈনিক চার কোটি পিস। উৎপাদন হচ্ছে প্রায় তিন কোটি ৭০ থেকে ৭৫ লাখ পিস। বন্যায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং গরমের কারণে এখন ২৫ থেকে ৩০ লাখ পিস ডিমের উৎপাদন কম হচ্ছে।

উৎপাদন কমলেও বাজারে ডিমের চাহিদা কমেনি, যার কারণে ঘাটতি থাকছে।

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার  বলেন পোলট্রি খাদ্য ও মুরগির বাচ্চা’র দাম অত্যধিক বাড়তির কারণে দেশে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ বেশি। মূলত এ কারণেই দেশের বাজারে ডিমের দাম বাড়তি। বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২৯ পয়সা; কিন্তু ভারতে ডিমের উৎপাদন খরচ মাত্র পাঁচ টাকা।’

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অসাধু মজুতদারিদের সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে দাম বেঁধে দিয়ে কখনোই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আর বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি দাম নির্ধারণ করে দিলে অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নেবে। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর শুধু দাম নির্ধারণ করে বাজার তদারকি না করলে বাজার আরো অস্থির হয়ে উঠবে। করপোরেট গ্রুপগুলো এ সুযোগে আবারও আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠতে পারে। তাই দাম নির্ধারণ বা যেকোনো সংকট সমাধানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, প্রান্তিক খামারি, ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্যাব।