সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত বুয়েট শিক্ষার্থী সৈয়দ শাদিদ নাসিফকে দেখতে যান। তাঁরা শাদিদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় কেবিনে শাদিদের বাবা, মা ও বোনসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারীর উপস্থিতিতে শাদিদের মা বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েন এবং তার সন্তান-সহ শিক্ষার্থীদের ওপর যেকোনো ধরনের বল প্রয়োগের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার নিশ্চয়তা চান। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদল বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের ডিএমপি প্রধানের মতো অবস্থান থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
শাদিদের বাবা রংপুরে একটি কলেজের শিক্ষক এবং বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রংপুর থেকে আসা পরিবারের অপরাপর সদস্যদের উপস্থিতিতে দুই বিশেষ সহকারী শাদিদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা-সহ প্রয়োজনে যেকোনো উন্নততর চিকিৎসার আশ্বাস দেন।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শাদিদের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। তবে পঞ্চম দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, চিকিৎসকদল পঞ্চম দিন অতিবাহিত হবার পরে সেলাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা লাগবে কি না সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রকৌশলীদের চাকরির অসন্তোষ সমাধানে গঠিত কমিটির প্রধান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। তাঁরা চিকিৎসক, সাপোর্ট স্টাফ ও নার্স-সহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।
পরবর্তীতে প্রতিনিধিদল শাদিদের বুয়েট’২০ ব্যাচের কয়েকজন সহপাঠী এবং উপস্থিত প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সংগঠকদের সাথে কথা বলেন। পাশাপাশি শাদিদের সহপাঠীরা স্নাতক প্রকৌশলীদের দাবির একটি যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির ব্যাপারে প্রতিনিধিদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, বুয়েটের ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাদিদ নাসিফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :