‘সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় রাজনৈতিক মতবিরোধ’


hadayet প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৯, ২০২৩, ৩:৪০ পূর্বাহ্ন / ৫৫
‘সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় রাজনৈতিক মতবিরোধ’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে। এটা রাজনৈতিক নেতাদেরই সুরাহা করতে হবে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সিইসি।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসির প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কিছু বিষয়ে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে এখনও নির্বাচনী পরিবেশটা পুরোপুরি সহায়ক নয়। আমরা আশা করি, অচিরেই মতপার্থক্যটা দূর হয়ে যাবে। এ সময় চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন খুবই আগ্রহী। এ বিষয়ে বাংলাদেশের ইতিবাচক মন্তব্যে তাঁরা খুশি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা এবং কিছু বড় বিষয়ে সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই একটি অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।

সিইসি বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল মূলত নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। তাদের ভোটার তালিকা (ইলেক্টোরাল রোল), সংসদীয় আসনের সীমা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে ইসির কোনো উদ্যোগ আছে কিনা, এই বিষয়গুলো তাদের জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ এসেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইসি থেকে একাধিকবার বলেছি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা প্রয়োজন এবং বড় ইস্যুতে তাদের মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজন আছে। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। আমরা বলেছি, এই আবেদনটা আমরা প্রথম থেকে করে আসছি, এখনও করে যাচ্ছি। কাজেই যে রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে করতে হবে। তাহলেই নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হবে, সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম সম্পর্কেও তাঁরা একটা প্রশ্ন করেছিলেন, যে ইভিএম নিয়ে অবিশ্বাস আছে কিনা? বলেছি, ইভিএম নিয়ে যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকটা কেটে গিয়েছিল। তবে এটাও জানিয়েছি, ইভিএম নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না। আমরা কী পরিমাণ নির্বাচন ইভিএমে করতে পারব সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হইনি।

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছিল ইইউ। বিষয়টি উল্লেখ করে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং গত বৈঠকের পরের অগ্রগতি সম্পর্কে জেনেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাঁরা মূলত নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন। সবাই একটি অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে কোনো সুপারিশ করেন না। নির্বাচন কমিশন তাদের কাজ করবে।