গাজায় ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু মারা যাচ্ছে


hadayet প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৩, ৪:০৬ পূর্বাহ্ন / ১০০
গাজায় ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু মারা যাচ্ছে

ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১৬০ শিশু মারা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমিয়ার বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার ০.৫ শতাংশ। আর প্রতিদিন সেখানে গড়ে মারা যাচ্ছে ১৬০টি শিশু।’

ক্রিশ্চিয়ান আরও বলেন, ‘গাজায় চলমান যুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৬ কর্মী মারা গেছেন। তবে এখনো আমাদের কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে গাজার স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ১০২টি, পশ্চিমতীরে ১২১টি এবং ইসরাইলে ২৫টি বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। বর্তমানে ইসরাইলের হামলা ও জ্বালানির অভাবে গাজার ২৫টি হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’

গাজায় ইসরাইলের চালানো নির্মম আগ্রাসনের এক মাসের বেশি সময় পার হলেও ভয়াবহতার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গাজার পূর্বাঞ্চলের সুজাইয়া এলাকায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 
 
তবে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি দেবেন না। 
 
এদিকে, এতদিন ইসরাইলের সঙ্গে সুর মেলালেও এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়ে অবশেষে কিছুটা নমনীয় হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর তাই গাজায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এ যুদ্ধবিরতি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস্ত করেন তিনি।
তবে বাইডেনের অনুরোধের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। পাশাপাশি যুদ্ধে জয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল থামবে না বলেও ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু।