শিরোপা-উৎসব করার আগে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বিশেষ উদযাপন করলেন ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে ওপরে ছুড়ে এটাই বোঝানো হলো যে, শিরোপা জয়ে কত বড় অংশীদার ছিলেন তিনি। বিপিএলের দশম আসরে এবারই প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন মুশফিক। তার মতো প্রথম বিপিএল শিরোপা জিতলেন একই দলের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের দুজনকে এই শিরোপা উৎসর্গ করেন দলটির অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শিরোপা জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই যেকোনো শিরোপা জেতা দারুণ ব্যাপার। তবে এবার একটু ভিন্ন কারণ ছিল। কারণ, আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল তরুণদের মধ্যে মিরাজ, সৌম্য বা অভিজ্ঞদের মধ্যে রিয়াদ ভাই, মুশফিক—ওরা লম্বা সময় ধরে দেশকে প্রতিনিধত্ব করছে।
কিন্তু ওরা এই (বিপিএল) ট্রফিটা কখনো পায়নি। তাই আমার নিজেরেই একটা ইচ্ছে ছিল আল্লাহ যদি আমাদের দেয়। তাহলে আমি তাদের উৎসর্গ করব।’ সংবাদ সম্মেলনের আগে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও একই কথা বলেন তামিম।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এটাকে আসলে মুশির ট্রফিই বলা যায়! আমি অধিনায়ক ছিলাম বলে মানুষ আমাকেই কৃতিত্ব দেবে। কিন্তু এই ধরনের একটি টুর্নামেন্টে অনেক চাপ থাকে। মুশি আমার চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। আমি তাই নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পেরেছি। মুশি, মাহমদু উল্লাহ এবং অন্যদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।
তামিম মন্দ বলেননি। গোটা টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন দুই ব্যাটার। আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনালে ইনিংসের শেষ ওভারে উইকেটের পিছনে বাঁদিকে লাফিয়ে ৩টি চার বাঁচান মুশফিক। নাহলে আরো বাড়ত কুমিল্লার রান।
সে প্রসঙ্গে টেনে তামিম বলেন, ‘মুশি মাঠে অসাধারণ সবকিছু করেছে। সে ফিল্ডিং পরিবর্তন করেছে, আরও অনেকভাবে সাহায্য করেছে এবং এটাকে আমি মুশির ট্রফি বলব।’ অথচ বিপিএল শুরুর আগে এই দলটাকে ‘বুড়াদের দল’ বলে আখ্যায়িত করতেন অনেকে। এনিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি কোনো বার্তা দিতে চাই না। এসব নিয়ে চিন্তাও করি না।’
আপনার মতামত লিখুন :