বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকই করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে দিয়েছিলেন ১১৩ রানে। নাসাউয়ের উইকেট বিবেচনায় লক্ষ্যটা কঠিন হলেও মোটেও অসম্ভব ছিল না বাংলাদেশের জন্য। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর তাওহীদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটিতে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকের নাটকীয়তায় ম্যাচটা হাতছাড়া হয় ‘মাত্র’ ৪ রানের ব্যবধানে।
হৃদয় যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, বাংলাদেশ ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে ছিল। দলীয় ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ যে ম্যাচটা এত কাছে নিয়ে গিয়েছিল, এর মূল কাণ্ডারি হৃদয়। ইনিংসের ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৩৪ বলে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে হারের দায়টাও কিনা নিজের কাঁধে নিলেন হৃদয়।
বরাবরের মতো এ ম্যাচেও টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন। প্রোটিয়াদের ১১৩ রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ তামিম (৯)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছন্দে ফেরার আভাস দেওয়া লিটন (৯) গতকাল দুই অঙ্কই ছুঁতে পারলেন না। উইকেটে এসে থিতু হওয়ার আগেই নর্কিয়ার বাউন্সারে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন সাকিব (৩)। এক প্রান্তে শান্ত ধরে রাখার চেষ্টা করলেও ১৪ রানের (২৩ বল) বেশি করতে পারেননি।
৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম, মাহমুদউল্লাহ-হৃদয় জুটির ৪৫ বলে ৪৪ রানে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংসের ১৮তম ওভারে রাবাদার বলে ‘আম্পায়ারস কলে’ এলবিডাব্লিউ হয়ে হৃদয় আউট হলে ম্যাচটা বাংলাদেশের হাত ফসকে যায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হারের জন্য নিজের আউটকেই দায়ী করেছেন হৃদয়।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘ম্যাচ হেরে গেছি আমার আউটে। খেলা ফিনিশ করলে হারতাম না। তারা (টপ অর্ডার) তো আউট হয়ে গেছে অনেক আগে। আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম। যদি আমি জেতাতে পারতাম… আমিই আউট হয়ে গেছি, পারিনি। আমার কাছে কখনও মনে হয়নি এই ম্যাচ হারতে পারি। যদি খেলা শেষ করতাম ভিন্ন দৃশ্য হতো। এখান থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।’
হৃদয় যখন আউট হলেন, তখন ১৭ বলে ২০ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ম্যাচটা শেষ করতে না পারার আফসোস ঝড়ল হৃদয়ের কণ্ঠেও, ‘আমি যখন ব্যাট করি, টার্গেটই থাকে ইটেন্ট নিয়ে ব্যাট করব। এটা রানের খেলা, মাথায় থাকে কীভাবে রান করতে পারি, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন। কখনও হয়তো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হব। ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। এ উইকেটে অনেক বড় ব্যাটাররাও রান করতে পারছে না, এখানে স্ট্রাইকরেট কারও বেশি নয়। এখানে যেভাবে আমরা ব্যাট করেছি, শুরুটা ঠিকঠাক ছিল, মাঝখানেও ভালো ছিল। ফিনিশিং ভালো করতে পারিনি। আমি খেলতাম বা যদি ফিনিশ করতাম, হয়তো দৃশ্যপট এমন হতো না।’
আপনার মতামত লিখুন :