লাহোরে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, কতটা ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস?


hadayet প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২৪, ৪:৩৪ পূর্বাহ্ন /
লাহোরে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, কতটা ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে বিশ্বের বড় বড় শহরে বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণও বেড়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস হয়ে ওঠে ‘অস্বাস্থ্যকর’।

রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টায় বায়দূষণে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে পাকিস্তানের লাহোর রয়েছে শীর্ষে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে লাহোরের স্কোর ৩৮৩। বাতাসের এ মান খুবই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১৬১ স্কোর নিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। ঢাকার বাতাস আজ জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, যার স্কোর ২৭১; আর ১৭০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা; এছাড়া ১৬৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাহরাইনের মানামা শহর এবং ১৬৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কুয়েত সিটি।
 
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
 
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
লাহোরের বাতাস আজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বায়ু সেবন যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। বায়ুদূষণের যে অবস্থা সেখান থেকে সুরক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এরমধ্যে আছে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, খোলা স্থানে ব্যায়াম না করা এবং জানালা বন্ধ করে রাখা।
 
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
 
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।