আমার উইকেটই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে: শান্ত
hadayet
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৭, ২০২৪, ৩:১৯ পূর্বাহ্ন /
১৯
স্লো উইকেটে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটিতে বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সৌম্য ফিরে গেলে মেহেদী ঘাসান মিরাজের সঙ্গেও জুটি বাঁধেন এই শান্ত। তাদের জুটিতে বাংলাদেশ সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল। টাইগারদের অধিনায়ক নিজেও হাঁটছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু সুইপ শট খেলতে গিয়ে বিদায় নিতে হয় শান্তকে। আর ম্যাচের দৃশ্যপটও বদলে যেতে থাকে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজাহতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। অথচ ২ উইকেট হারিয়েই ১২০ রান তুলে ফেলেছিল টাইগাররা। এরপর আল্লাহ গজনফরের স্পিনের মায়াবী ফাঁদে পা দিয়ে আর মাত্র ২৩ রান তুলতেই বাকি ৮ উইকেট হারায় শান্তর দল।
যার শুরুটা মোহাম্মব নবির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে শান্তর ক্যাচ তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে। শুরু থেকেই মোহাম্মদ নবির স্পিনে ভুগছিলেন টাইগার দলপতি। রান বের করতে না পারায় হতাশায় পা দেন নবির পাতা ফাঁদে। সুইপ শট খেলতে গিয়ে হাসমতউল্লাহ শহিদির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
এমন হারের পর শান্ত জানান, তার উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। টাইগার দলপতি বলেন, ‘আমার উইকেটটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি সেট ব্যাটার ছিলাম। মিরাজ, সৌম্যদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একই। এমন কন্ডিশনে আপনাকে লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হবে।’
বাংলাদেশের ইনিংস হঠাৎ ধসে পড়ে ১৮ বছর বয়সী স্পিনার আল্লাহ গজনফরের স্পিনে। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ম্যাচসেরা হওয়ার দিনে শিকার করেছেন মিরাজ, মুশফিক, রিশাদ, তাসকিনকে। আফগান স্পিনারের প্রশংসার পাশাপাশি পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের কথাও বলেছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান সবসময় রহস্যময় স্পিনারে ভরা। তারা সবাই ভালো বোলিং করেছে, বিশেষ করে গাজানফার। আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো ছিল কিন্তু দিনটা আমাদের নয়। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
বোলিংয়েও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়েছিল। মাত্র ৭১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আফগানরা। হাসময়তউল্লাহ ও নবি ১০৪ রানের জুটিতে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন। শেসের দিকে নাঙ্গোলিয়া খারাটের ক্যামিও বাড়িয়েছে আফগানিদের রান। শান্তর মতে, অ্যাগ্রেসিভ বোলিং করতে যাওয়ার কারণেই শেষের দিকে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছিল। প্রথম ১৫-২০ ওভারে আমরা দারুণ বোলিং করেছিলাম। মাঝের সময়ে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নবি দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয় না আমাদের আক্রমণ (বোলিং) প্রয়োজন ছিল। উইকেটে বাউন্স কম ছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :