ছয় মাসে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং আড়াই লাখ কেজি পলিথিন জব্দ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত দেশব্যাপী বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযানে মোট ২ হাজার ৮৪৬টি মামলা দায়ের করে প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায় এবং আড়াই লাখ কেজি পলিথিন জব্দ করেছে।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যানবাহনের অতিমাত্রায় কালো ধোঁয়া, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান, সীসা-ব্যাটারী রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, খোলা জায়গায় নির্মাণসামগ্রী সংরক্ষণ, টায়ার পাইরোলাইসিস ও চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় ৪৮৩টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ, ২১৬টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা প্রদান, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা এবং ৯১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সেবা বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একইসঙ্গে দুই জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৬টি কারখানা থেকে সীসা গলানোর ৮টি ট্রাক সরঞ্জাম জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে ১০ জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত পরিচালিত ৪৭৭টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৯০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৭ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৭ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ১০ জুলাই, ২০২৫ ঢাকা মহানগরের মিরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলায় দু’টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছয়টি মামলায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইদিনে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী কিশোরগঞ্জে একটি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ২৭ দশমিক ৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ও পাবনা জেলায় দু’টি এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :