দেশে তৈরি বাংলা ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টফি’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি দেশীয় কনটেন্ট নির্মাতাদের ইউটিউব-এর বিকল্প হিসেবে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার দপ্তর থেকে অনলাইনে দেশের প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির উদ্বোধন করেন। মোবাইল কোম্পানি বাংলালিংক ডিজিটাল এই প্লাটফর্মের স্বত্ত্বাধিকারী।
এ উপলক্ষে মন্ত্রী ঢাকায় বাংলালিংক সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্লাটফর্মটিকে বাংলা, বাঙালি, বাংলার কৃষ্টি, জীবনধারা, মেধা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি অসাধারণ কাজ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মেধাবী ও সৃজনশীলদের জন্য প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে টফির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ একটি বিষয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের ৪০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের রাজধানী বাংলাদেশ। বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষা ও বিকশিত করা বাংলাদেশের লক্ষ্য।’
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হরফকে অবিকৃত রাখার দীর্ঘ সংগ্রামের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বাংলা ভাষাকে সুরক্ষা করবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে বাংলা হরফ নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে বাংলা আজ ডিজিটাল প্রযুক্তির উপযোগী ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’
টফিতে কনটেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করতে সংশ্লিষ্টদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মেধার বিকাশ দেখেতে চাই, মেধা চুরি নয়।’
‘টফি’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরিতে অসাধারণ একটি সৃজনশীল উদ্ভাবন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘টফি’র মাধ্যমে আমরা নিজেদের দেশ-জাতি ও সংস্কৃতি বিকাশে এগুতে পারব। বাংলালিংক দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে গর্ব করার মতো একটি কাজ করেছে। ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্মে কপি রাইট যাচাই বাছাই না হওয়ায় কন্টেন্ট পাইরেসি হয়।’
কপি রাইট আইন প্রয়োগ ও কন্টেন্ট প্রদানকারীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য টফি’র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটি নিরাপদ প্লাটফর্মের জন্য পরিচয় নিশ্চিত করা উচিৎ। তথা কথিত কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের আড়ালে ভিনদেশীয় সংস্কৃতি প্রভাব থেকে আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি সমুন্নত রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এডিটর্স গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু এবং বাংলালিংকের সিইও এরিক অ্যাস বক্তৃতা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :