দেশে আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্মার্টফোনে বিজয় কি-বোর্ডের অ্যানড্রয়েড প্যাকেজ কিট (এপিকে) ব্যবহারের নির্দেশ বাস্তবায়নে কারিগরি কোনো সমস্যা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখছে মোবাইল ফোন বাংলাদেশ আমদানিকারক সমিতি বিএমপিআইএ।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিএমপিআইএসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এই নির্দেশনা দেয়, বিজয় কি-বোর্ডের প্যাকেজ কিট ছাড়া কোনো স্মার্টফোন বাজারজাত করার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। আমদানীকৃত ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোনে ওই কিট ব্যবহার করতে হবে।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের উপপরিচালক কাজী মো. আহসানুল হাবীব মিথুনের সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্মার্ট মোবাইল ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বাজারজাত করার আগে আমদানি করা ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব স্মার্ট হ্যান্ডসেটে বিটিআরসির সরবরাহ করা বিজয় অ্যানড্রয়েড এপিকে ফাইল ইনস্টল করে তা কমিশনে প্রদর্শন করতে হবে। চিঠি জারির তারিখ থেকে বর্ণিত নির্দেশনাটি কার্যকর করা হবে এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে এপিকে ফাইলটি বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হবে।
বিএমপিআইএর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিষয়টি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক সবাইকে জানানো হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল কালের কণ্ঠকে এই কি বোর্ডের সুবিধা সম্পর্কে বলেন, এটা ব্যবহারে প্রচুর ডাটা বা বেশি সময় লাগবে না। সহজে ব্যবহার করা যাবে। এটা প্রমিত কি-বোর্ড। ২০১৭ সালে একটি প্রমিত কোড বা কি-বোর্ড করা হয়েছে? একটি কমিটির মাধ্যমে এটা করা হয়। ২০১৮ সালে এটা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন পায়। এটি এখন জাতীয় মান। এর সফটওয়্যারও করা হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিজয়ের অ্যানড্রয়েড ভার্সন আছে, যে ভার্সনটি গুগল প্লেস্টোর থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। এই কি-বোর্ডে মাত্র ২৬টি বোতাম মনে রাখতে হয়, যা অন্য বাংলা কি-বোর্ডে সম্ভব নয়। সরকার অনেক আগেই নির্দেশনা দিয়েছে যে, মোবাইল ফোনে বাংলার ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব ফিচার ফোন আছে, সেগুলোতে অনেক আগেই বাংলার ব্যবহার বাস্তবায়ন হয়েছে। ফিচার ফোনের জন্য বাইরে থেকে সফটওয়্যার আনা হয়। এতে ভালোভাবে লেখা যায় না। এই অবস্থায় এখন সরকার তো চাইবে তার স্ট্যান্ডার্ডটাই, জাতীয় মানটাই ব্যবহার হোক। সে কারণেই বিটিআরসির এটা ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়েছে। ব্যবহারকারীরাও এটাকে গ্রহণ করবে। কারণ নিজের ভাষায় লেখার জন্য বিনা মূল্যে সহজ একটি সফটওয়্যার পাবে তারা। মোবাইল ফোনসেট আমদানিকারক ও স্থানীয় উৎপাদনকারীরা এই সফটওয়্যার বিনা মূল্যে পাবে। এতে বিজ্ঞাপন থাকবে না।’
বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিটিআরসির নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা কারিগরি ইস্যুগুলো খতিয়ে দেখছি। বড় কিছু নয়, ছোট ছোট কিছু সমস্যা থাকতে পারে। গুগলের সঙ্গে ম্যাচিং হবে কি না, দেখতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :