বান্দরবানের থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
জেলা প্রশাসক জানান, রুমা ও রোয়াংছড়িতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ডের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে অভিযান পরিচালনার প্রয়োজন থাকায় এই দুটি উপজেলায় ভ্রমণে ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে এখনো এ দুটি উপজেলাকে পর্যটক ভ্রমণের উপযোগী বলে মনে করছে না জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকাসমূহ ব্যবহার করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’ নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনের তত্ত্বাবধানে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকাসমূহে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড শুরু হয়। এসব অপতৎপরতা থামাতে র্যাব অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি এবং রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে। পরে অভিযানের আওতায় থানচি ও আলীকদম উপজেলাকেও নিয়ে আসা হয়। এ কারণে এ চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর মাঝে মধ্যেই বিধি নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
এদিকে গত ডিসেম্বরে প্রথমে পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় আলীকদম উপজেলার ওপর থেকে। ১১ জানুয়ারি থেকে থানচি উপজেলায় র্যাবের অভিযান সম্প্রসারিত করায় থানচি উপজেলাকে আবারও পর্যটক ভ্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। থানচিতে অভিযান শেষ হওয়ায় বুধবার ১৮ জানুয়ারি সকাল থেকে থানচি উপজেলাকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত করা হলো।
র্যাবের এই চলমান অভিযানে নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ১২ জন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’-এর ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আপনার মতামত লিখুন :