বাংলাদেশি কিশোর হত্যার খবর সিএনএনের প্রধান শিরোনাম


hadayet প্রকাশের সময় : মে ১৩, ২০২৪, ৫:১৪ পূর্বাহ্ন / ৩৩
বাংলাদেশি কিশোর হত্যার খবর সিএনএনের প্রধান শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৯ বছর বয়সি বাংলাদেশি কিশোর উইন রোজারিও হত্যার খবর এবার প্রধান শিরোনাম সিএনএনে। হত্যার দেড় মাস পেরোনোর পর পুলিশের বডিক্যামের ফুটেজ দেখে বিস্মিত হচ্ছেন সবাই। এতে নীরবতা ভাঙলো বিশ্বখ্যাত সংবাদ মাধ্যমটি, যেন মানবতার পক্ষে দাঁড়ালো যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ এ গণমাধ্যম।

গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের কুইন্সের ওজনপার্কে নিজ বাসায় ঢুকে মা ও ভাইয়ের সামনে উইন রোজারিওকে গুলি করে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর তা দেখে সবার মনেই প্রশ্ন জাগে, কেন তাকে গুলি করলো পুলিশ। মায়ের কোনো আকুতি-কাকুতি শোনেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সিএনএন বলছে, একজন মানসিক অসুস্থ কিশোরকে সহায়তা করতে গিয়ে তাকেই গুলি করে মেরেছে পুলিশ। মাত্র দুমিনিটে চার চারটি গুলি করা হয় তাকে।
 
সমালোচকদের ভাষ্যে সিএনএন বলছে, এক্ষেত্রে পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার একেবারেই অপ্রয়োজনীয় ছিল। এটি মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহিংসতার নজির হয়ে থাকবে।
উইন রোজারিও হত্যায় দুই পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি মামলা হয়েছে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন।
 
গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে উইন রোজারিও তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করেন। এ সময় ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়।
 
নিউইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার বাসায় গিয়ে উইনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এর এক পর্যায়ে তার উদ্দেশে টেজার গান ছোড়া হয়। এর আগে উইনের মা উইনকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি-কাকুতি জানান গুলি না করার জন্য।
তবুও পুলিশ উপর্যুপরি টেজার ছোড়ে। আতঙ্কে মানসিক বিকারগ্রস্ত উইন চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ-মাংস কাটার কেঁচি হাতে নিয়ে পুলিশের দিকে ধেয়ে আসার চেষ্টা করে। এ সময় দুই অফিসার কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে উইনকে ধরাশায়ী করেন। ফুটেজে তা স্পষ্ট হয়েছে।
 
হত্যাকাণ্ডের ৩৬ দিন পর শুক্রবার (৩ মে) পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস।