থানা শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার গড়ে তুলেছেন সংবদ্ধ দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতার মিনি সাম্রাজ্য


hadayet প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩, ২০২৪, ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন / ২৯
থানা শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার গড়ে তুলেছেন সংবদ্ধ দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতার মিনি সাম্রাজ্য

তিনি ঢাকা সেনানিবাস থানার শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার। উত্তরা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “দারোয়ান” পদে চাকুরি করছিলেন আজিুজল ইসলাম ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা মাসিক বেতনে। শাহীনা আক্তার তাকে বিনা নোটিশে চাকুরিচ্যুত করে তদস্থলে ১৪,০০০/- (চৌদ্দ হাজার) টাকা বেতনে নিয়োগ দিয়েছেন তার পছন্দের লোক। আজিজুল ইসলাম আজও জানেননা কী তার অপরাধ। স্কলে বর্তমানে কোনো ম্যানেজিং কমিটি নেই। তিনি তার পছন্দের লোক দিয়ে নামমাত্র এ্যাডহক কমিটি করে রেখেছেন। তিনি আজমপুর সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা বেগম ও সহকারী শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকা এবং পূর্ববর্তী ম্যানেজিং সভাপতি ইসমে আরা হানিফের সহযোগিতায় ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মালামাল যেমন-স্টিলের বেঞ্জ, চেয়ার, টেবিল, পুরাতন গেইট, গাছের নারিকেল, পুরাতন বই, নতুন বিনা মূল্যের উদ্বৃত্ত পাঠ্যবই ইত্যাদি বিক্রয় করেছেন। বিদ্যালয়ের দোকান থেকে বকেয়া ও অগ্রিম ভাড়া বাবদ প্রধান শিক্ষক ফারহানা বেগমের মাধ্যমে ৪,০০,০০০/- (চার লাখ) টাকা আদায় করেন। প্রধান শিক্ষক ফরহানা মাত্র দেড় লক্ষ টাকার হিসাব দিয়ে ০১ বছরের ছুটি বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। উক্ত শাহীনা আক্তার আজমপুর স্কুল, ইবরাহিমপুর স্কুল, কুর্মিটোলা স্কুলসহ যে সকল স্কুলে স্থানীয় তহবিল থেকে ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে নানাভাবে চাপ দিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। এছাড়া শিক্ষকদের চিকিৎসা ছুটি, পি.টি.আই পাশের স্কেল নির্ধারণ, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ইত্যাদি মঞ্জুরের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ আদায় করে থাকেন। বিভাগীয় সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা জরুরি বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) মহোদয় উক্ত শাহীনা আক্তারের শাস্তি দাবি করেছেন।