মশা তাড়াতেও খালি হচ্ছে ভোক্তার পকেট!


hadayet প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৪, ৬:৩৩ পূর্বাহ্ন / ১১
মশা তাড়াতেও খালি হচ্ছে ভোক্তার পকেট!

ডেঙ্গু আতঙ্কে স্প্রে, ইলেক্ট্রিক ব্যাট, কিংবা মশার কয়েল কিনতে খালি হচ্ছে ভোক্তার পকেট। মানভেদে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে এর একেকটি পণ্যের জন্য। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরমের শুরুতে মশার উৎপাতে বেড়েছে মশারি ও কয়েলসহ বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা। এতে যেন ঝোঁপ বুঝে কোপ মারছেন বিক্রেতারা। এর বাড়তি এ ব্যয়ের খড়গ ঝুলছে ভোক্তাদের গলায়।

বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। এরপর প্রতি বছরই মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যার সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ২০২৩ সালে। ওই বছর তিন লাখেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। মারা যান ১ হাজার ৬৯৭ জন, যা গত ২২ বছরের মোট সংখ্যারও দ্বিগুণ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়ছে তাপমাত্রা, যার সঙ্গে বাড়ছে মশার প্রকোপ। ফলে মশা প্রতিরোধক পণ্যের দিকে ঝুঁকছে সাধারণ মানুষ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরও ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে ডেঙ্গু। বাড়তে পারে অন্যান্য মশাবাহিত রোগও।
 
কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার সময় সংবাদকে বলেন,২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরেই আমাদের গবেষণার মাধ্যমে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিলাম, মার্চ মাসে কিউলেক্স মশা চরম অবস্থায় পৌঁছাবে। আর এ বছর দেশের কিছু কিছু জেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি হবে।

এদিকে, বাড়তি চাহিদায় বেড়ে গেছে মশা প্রতিরোধক বিভিন্ন পণ্যের দাম। এক বছরের ব্যবধানে প্রকারভেদে কয়েলের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। আর আমদানি নির্ভর পণ্য স্প্রে ও ব্যাটের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ; মশারির বাজারও চড়া।বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় মশা প্রতিরোধক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে বিক্রিও ভালোই হচ্ছে।
সময়ের ব্যবধানে অতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠা মশা নিরোধক পণ্যের পেছনে প্রতি মাসেই আলাদা বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এতে নতুন করে চাপ যোগ হয়ে ভোক্তার পকেট খালি হওয়ার অবস্থা!
মশা থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত খরচের খড়গ কমাতে সরকারিভাবে মশা নিধনের কার্যকর উদ্যোগের দাবি জনসাধারণের।