ধীরে ধীরে বাস্তব রূপ পাচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর


hadayet প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩, ৪:২১ পূর্বাহ্ন / ৮০
ধীরে ধীরে বাস্তব রূপ পাচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর

সাগরের নীল জলরাশির বুকে অমিত সম্ভাবনার হাতছানি। যেখানে গড়ে উঠবে দেশের প্রথম মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি। যেখানে ১ হাজার ৩১ একর জায়গা জুড়ে হবে এই বন্দর। এখন সেখানে সড়ক অবকাঠামোর কাজ চলছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আগামী জুনের পর শুরু হবে সমুদ্র বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ।

চট্টগ্রাম বন্দর অংশের প্রকল্প পরিচালক জাহিদ হাসান বলেন, অনুমোদনগত প্রক্রিয়া বাকি আছে, সেটি হয়ে গেলেই আশা করছি আগামী জুলাই মাস থেকে আমারা কাজ শুরু করতে পারবো।

প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর উত্তম মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের আশা, ২০২৬ সালের মধ্যেই চালু হবে বহু প্রতীক্ষার এ বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে, যা হবে এ অঞ্চলে প্রথম।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, এই বন্দরে প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে গভীরভাবে পড়বে। এর ফলে সারা বিশ্বে আমাদের দেশের নামটা একনামে চিনবে।

এটি চালু হলে পণ্য আমদানিতে সময় আর খরচ কমবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য এম এ লতিফ জানান, এটি পণ্য আমদানিতে সময় আর খরচ কমাবে সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গভীর সমুদ্র বন্দরটিতে জেটি থাকবে ২টি, যেখানে একসাথে ভিড়তে পারবে ২টি জাহাজ। জাইকা, বাংলাদেশ সরকার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে মোট ১৭ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে এই প্রকল্প।

একসময় যেটি ছিল দুরের স্বপ্ন ধীরে ধীরে সেটি বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। চোকের সামনে ধরা দিচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো। এটি চালু হলে শুধু দেশের আমদানি-রপ্তানি গতিশীল হবে তা নয়, এটি পরিণত হবে এ অঞ্চলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হাবে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।